অবশেষে ডিবি পুলিশের জালে আটক স্বর্ণ চুরির মূলহোতা ‘সুন্দরী তন্নী’!

রাজধানীর উত্তরা থেকে ১৩টি চুরি মামলার আসামিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। গ্রেফতার ৫ জনের মধ্যে ২ জন নারী সদস্য।

রোবববার (২৬ মে) দিনগত রাত ১১ টার দিকে উত্তরা এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে গাড়িসহ তাদেরকে আটক করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- তন্নী ওরফে নদী ওরফে সাদিয়া, তার সহযোগী আফসানা, উবার চালক কালাম, তার সহযোগী আসিফ ও রায়হান।

গুলশান জোনের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এডিসি গোলাম সাকলাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উত্তরা এলাকা থেকে প্রাইভেটকারসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই ৫ জন হচ্ছে একটি চক্র, তারা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সুকৌশলে মানুষের বাসায় প্রবেশ করে স্বর্ণ ও নগদ টাকা চুরি করে থাকে।

এডিসি গোলাম সাকলাইন জানান, তন্নী ওরফে নদী স্বর্ণ চুরির মূলহোতা। তিনি রাজধানীতে অন্তত ২০টি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন। অভিযোগ আছে যে, তিনি প্রথমে কোনো একটি বাসায় ঢুকে নিজেকে ভিআইপি পরিচয় দেন।

এরপর বাড়ির লোকদের সম্মোহন করে স্বর্ণ লুট করেন। তার বিরুদ্ধে মোট ১৩ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে মিরপুর থানায় তিনটি, ২০১৮ সালে একটি, ২০১৭ সালে দক্ষিণখান থানায় একটি ও দারুস সালাম থানায় একটি মামলা হয়।

২০১৮ সালে আদাবর ও তেজগাঁও থানায় একটি করে এবং মোহাম্মদপুর থানায় দুইটি মামলা হয়েছে। এছাড়া ২০০৫ সালে নিউমার্কেট থানাতেও একটি মামলা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। সবশেষ গত ১৯ মে ভাটারা থানায় মামলা করেন প্রতারণার শিকার হওয়া খলিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি।

চুরির কাজে তন্নী ওরফে নদীকে সহায়তা করতো আফসানা, উবার চালক কালাম ও আসিফ। চুরি করা স্বর্ণ যে দোকানে বিক্রি করা হতো সেই দোকানের কর্মচারী হলেন রায়হান। তাকেও গ্রেফতার করেছে ডিবি।

এডিসি গোলাম সাকলাইন আরও বলেন, তন্নী বিভিন্ন সময় অনেক ছদ্মনাম ব্যবহার করে থাকে। প্রাইভেটকারটি জব্দসহ পাঁচ আসামি গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে আছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে চুরি ও প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।